বন্ধুরা, আমাদের পৃথিবীর এই মানুষেরা বড়ই আজব। কেউ ভালো কাজ করে বিখ্যাত বা viral হতে চায়, আবার কেউ খারাপ কাজ করে নাম পেতে চায়। তাই আজ আমি যার সম্বন্ধে বলতে চলেছি সেটা নিশ্চয়ই আপনারা পোস্টটির Title দেখেই বুঝতে পেরেছেন।
হ্যাঁ, আমি সেই বিখ্যাত ব্যক্তি রোদ্দুর রায়ের সম্বন্ধে বলছি, যিনি নিজেকে বিশ্বকবি বলে দাবী করেন। ইনি অশ্লীল ভাষায় গান গেয়ে এবং পাগলের মত আচরণ করে সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়েছেন।
তো চলুন বন্ধুরা তাহলে এখন জানা যাক এই ব্যক্তির সম্পর্কে অজানা কিছু বিষয়।
শুরু করার আগে জানিয়ে রাখি যে এই যে তথ্যগুলো আমি দিচ্ছি তা সবই ইন্টারনেট বা স্পেশাল মিডিয়া থেকে সংগ্রহ করে আমি পেয়েছি। তাই আমার অনুরোধ, কোন কিছু কমেন্ট করার আগে আমার এই পোস্টটি ভালভাবে পড়ুন তারপর কমেন্ট করুন।
Some Interesting Info about Roddur Roy (না জানা কিছু তথ্য)
এই মূহুর্তে বাংলা ইন্টারনেটের দুনিয়ায় সাড়া জাগানো ইউটিউবারদের মধ্যে তিনি অন্যতম একজন । তাঁর বর্তমান ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যা 1 লক্ষ 60 হাজার। তার গাওয়া গান ইন্টারনেট জগতে ঝড় তুলেছে সঙ্গে সুনামিও এনেছে। তার বিখ্যাত সব সৃষ্টির মধ্যে রয়েছে আমি কোকোনাট ম্যান, আমারো পরান যাহা চায়, আগুনের পরশমণি, একটি মশা ও মাছি ইত্যাদি। তার বিশেষ উল্লেখযোগ্য কবিতা, আলাপচারিতা সব মিলেমিশে এক অনবদ্য মশলার উপাদান।
পাগল, খিল্লিবাজ নাকি প্রতিবাদী যে রোদ্দুর রায়কে আমরা সবাই চিনি, তিনি এখন কলকাতার বাসিন্দা। রামনগর কলেজ থেকে গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করেন তিনি। আপনারা হয়তো জানেন না তিনি অতীতে ডিজে ছিলেন, তিনি শুধু একজন ভালো গিটারিস্ট নন, তিনি একজন গায়কও, সেইসঙ্গে একজন বিখ্যাত লেখক। তার জীবনের কিছু শখ হল দাড়ি বাড়ানো, নাচ, গান গাওয়া, বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরে বেড়ানো।
রোদ্দুর রায় হাসির পাত্র, তার গানের ভঙ্গিতে উচ্চারণে মানুষ বিরক্ত হন, মজা পান। বেশিরভাগ লোকই বলেন Trending হতে চেয়ে তার এমন আবভাব, তা শুধুমাত্র সস্তা ফুটেজ খাওয়ার জন্য। এক অর্থে দেখলে মোটেই ভালো না। একজন মানুষ নিজের মত করে বেসুরে গাইছেন, বিশ্রী অঙ্গভঙ্গি করছেন, নাচছেন, গালাগালি দিচ্ছেন, খিস্তি করছেন, অশ্লীল শব্দ ব্যবহার করছেন, যেগুলো আমাদের সমাজে মেনে না নেওয়াটাই স্বাভাবিক।
আপনারা শুনলে অবাক হবেন 2015 সালে রোদ্দুর রায়ের একটি কবিতার বই প্রকাশ পায়। যদিও সেই বইয়ের লেখাগুলি কবিতা বলা যায় কিনা তা আলোচনার বিষয়, তবে অজস্র খিস্তি-খেউড়-খিল্লির মধ্যে এ বই-এর থেকে এমন কিছু ইঙ্গিত মেলে, যা আপনাকে থমকে যেতে বাধ্য করবে। বইটির নাম Porom Kaorha Kabyo Grontho যা amazon.in ওয়েবসাইটে availabel আছে। রোদ্দুর রায়ের লেখা এই বইটি পড়তে প্রচুর বিরক্ত লাগতে পারে আপনার, তবুও ফাঁকে-ফাঁকে রয়েছে এমন কিছু তীব্র সত্যি যা অবাক করে। দেখা যাক তেমনি একটি কবিতার অংশবিশেষ।
লেখা দেখে বিশ্বাস করতে কষ্ট হবে এগুলি রোদ্দুর রায়ের লেখা। বইয়ের বেশিরভাগ লেখাই গড়ে উঠেছে ফ্রিডম অফ এক্সপ্রেশন এর উপর ভিত্তি করে। ফলে সেগুলি আদৌ কতটা কবিতা হয়ে উঠেছে সে প্রশ্ন থাকতেই পারে। এ তো গেল কবিতার কথা, তিনি নিজে গানও বাঁধেন, গেয়েও ফেলেন নিজে। কখনও হাতে একটা গিটার, কখনো দোতারা, আর এই গানের কথাগুলো শুনলে চমকে উঠতে হয। অথচ তার ইমেজ এমন হয়ে গেছে যাই করুন না কেন লোকে মজা হিসেবেই নেয়। ফলে রোদ্দুর রায় নামটির সঙ্গে সিরিয়াসনেস মেশানো যায় না সহজে।
হাতে তুলিও তুলে নিয়েছেন তিনি। এঁকেছেন একের পর এক ছবি। সাদা কাগজের উপর কালো রঙের ফুটিয়ে তোলা একের পর এক অপবই আসলে বিচ্ছুতারি প্রতীক।
তিনি প্রায় প্রত্যেক পোষ্টের সঙ্গে Moxa Poem, Moxa Song লিখে রাখেন, কিন্তু কি এই Moxa Music তা আমরা জানতাম না। প্রায় সব বাঙালির কাছেই অজানা ছিল Moxa শব্দটির। রোদ্দুর রায় সেটির সঙ্গে পরিচয় করালেন আমাদের। মানুষের নিজের ভিতর সত্যার্থ কে সহজ-সরলভাবে বাইরে ছুড়ে দেওয়া Moxa Music এর লক্ষ্য। Moxa Music এর সম্পর্কে বলা যায় এমনটাই, সামাজিক বিধিনিষেধ গণ্ডির বাঁধাধরা পথ ভেঙ্গে নিজের মতো করে পরিবেশন করা গান তাতে ব্যাকরণ মানা হোক বা না হোক ক্ষতি নেই। Freedom of Expression এর ধারণা বা চল নতুন কিছু নয়। বিভিন্ন শিল্প মাধ্যমের একাধিক শিল্পী এর প্রয়োগ করেছেন। বাংলাতেও বিরল নয় এই উদ্যোগ। বলা যায়, Moxa গিরির সে ধারণায় নবতম সংযোজন করছেন যে হাতে গোনা কয়েকজন, রোদ্দুর রায় তাদেরই একজন।
সার্বিক ভাবে তার অন্যান্য কাজের দিকে নজর দিলে কোনোভাবেই উড়িয়ে দেওয়া যায় না মানুষটাকে। পছন্দ হোক বা না হোক থমকাতেই হয় খানিকটা, ভাবতেই হয় কি বলতে চাইছেন তিনি।
বন্ধুরা, আপাতত তার সম্পর্কে এইটুকু তথ্যই আমি ইন্টার্নেট থেকে সংগ্রহ করতে পেরেছি।হয়তো তার সম্পর্কে আরো অনেক interesting তথ্য এখনো জানা বাকী আছে।
তবে আমি ওনাকে এটা অবশ্যই বলব যে রবীন্দ্রনাথ বা বাংলার যারা গর্ব, তাদের অমূল্য রচনা নিয়ে অশ্লীল ভাষায় গান রচনা বন্ধ করুন। আর আপনি যেভাবে পাগলামি করেন সেটা নিয়ে ভিডিও বানান, আপনি যথেষ্ট ভাইরাল হবেন, সন্দেহ নেই । কি বন্ধুরা ঠিক বলেছি তো আপনাদের যদি একমত হন তাহলে অবশ্যই পোস্ট টি শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ।